1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

পুলিশ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত দুইজনের একজনের গলায় আঘাতের চিহ্ন, অপরজন গুলিবিদ্ধ

  • Update Time : মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১৮২ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জে বিএনপির ডাকা টানা তিনদিনের অবরোধের প্রথম দিনে কুলিয়ারচর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ছয়সূতি ইউনিয়নে ছয়সূতি বাজারে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ ঘটনায় দুইজন ব্যক্তি নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন- ছাত্রদলকর্মী রিফাত উল্লাহ ও ছয়সূতি ইউনিয়ন কৃষকদল সভাপতি বিল্লাল মিয়া। নিহত বিল্লাল মিয়া আনুমানিক (৩৬) কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতি ইউনিয়নের কাজল মিয়ার ছেলে এবং শেফায়েত মিয়া (২২) একই ইউনিয়নের কাউছার মিয়ার ছেলে।

কুলিয়ারচর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল মিল্লাত নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমাদের মিছিল ছিল খুবই শান্তিপূর্ণ। শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ নির্বিচার গুলি ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে রিফাত ও বিল্লাল নামে আমাদের দুইজন নেতা মারা যান।’
রিফাত উল্লাহ উপজেলার ছয়সূতি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি। বিল্লাল মিয়া একই ইউনিয়নের কৃষক দলের সভাপতি। রিফাতের মরদেহ বর্তমানে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সুপার মো. রাসেল শেখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এডিশনাল চিফ অব ওয়ার্ড মাস্টার রুকুনুজ্জামান বলেন, রিফাতের শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
তবে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ একজন নিহতের খবর নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, কুলিয়ারচরে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা টহল দিচ্ছিলো। উপজেলার ছয়সূতি ইউনিয়নের ছয়সূতি বাজার এলাকায় পুলিশ সদস্যরা পৌঁছালে হঠাৎ বিএনপি ও জামায়েতের কর্মীরা হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্যে করে বিএনপি নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। ইটপাটকেলের আঘাতে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা আহত হন।

এদিকে স্থানীয়রা বলছে বিল্লালের গলায় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তাহলে বিল্লাল কিভাবে মারা গেল তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল!!!
এদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম বলেন, সকাল ৯টার দিকে অবরোধের সমর্থনে ছয়সূতী ইউনিয়নে আঞ্চলিক সড়কের অবস্থান নেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পুলিশ বাধা দিলেও সড়কে মিছিল করেন তারা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছে।
তবে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোঃ কামরুল হাসান বলেন, আজকের অবরোধে আমরা দুইজন রোগী পাই। দুইজনের মধ্যে একজন মারা গেছেন আর একজনকে ভর্তি করা হয়েছে। যিনি মারা গেছেন তার নাম বিল্লাল। তার গলায় ক্ষত পাওয়া গেছে। নিহতের গলায় আঘাতের যে চিহ্ন তা ধারালো কিছু দিয়ে করা।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় আমি আহত হয়েছি। বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরা অর্তকিত হামলা চালায়। তাঁরা ককটেল নিক্ষেপও করে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আদনান আক্তার বলেন, হাসপাতালে কোনো মরদেহ আসেনি। ওসিসহ ১৫ থেকে ১৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছিলেন। তাঁদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালায় পিকেটাররা। এ সময় পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ককটেলও নিক্ষেপ করে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরা। জানা গেছে, এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ মডেল থানার একটি গাড়িতেও হামলা চালায় পিকেটাররা।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, পুলিশকে হত্যা করার উদ্দেশ্যেই আক্রমণ করা হয়েছে। ওসিসহ ১৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। পুলিশ তাদের জীবন রক্ষার্থে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়ন করবে। মৃত বিল্লালের সুরতহাল প্রতিবেদনে তার যে ইনজুরি দেখা গিয়েছে তাতে প্রতীয়মান হয় এটি কোনো গুলির ইনজুরি নয়। অর্ন্তঘাতমূলক কোনো কিছু হতে পারে। বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।
এদিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেলায় উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..